ঝিনাইদহ আদালতের মালখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দু’টি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার বিকেলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাজীব হোসেন (৩৬) কে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। নিহত রাজীব হোসেন সদর উপজেলার ভবনগর গ্রামের লতা বিশ্বাসের ছেলে।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, আদালতের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই জন মারা গেছেন। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) কে প্রধান করা হয়েছে। তাদেরকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অপরদিকে আদালত সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরণের ঘটনায় বিকালে ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বজেন্দ্র বিশ্বাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মালখানায় গণপুর্ত বিভাগের গ্রীল মিস্ত্রীরা কাজ করছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান আদালতে থাকা উপস্থিত মানুষ। তারা ছুটে এসে দেখতে পান মালখানার দরজা, জানালা ভেঙ্গে পড়েছে এবং ভেতরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে সেখান থেকে আহত অবস্থায় ৫ জনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মারা যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজীব হোসেনসহ আরও ১ জনকে ফরিদপুরে পাঠানো হলে পথে মধ্যেই রাজীব হোসেন মারা যায়।